করোনার সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন আনারস। ফ্ল্যাভোনয়েড থাকায় আনারস পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
সহজলভ্য এই আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখবে। আনারস ফাইবার, ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ।
প্রতিদিন কতটুকু আনারস খাবেন
একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টুকরো আনারস খেতে পারেন। কখনোই একটা পুরো আনারস একসঙ্গে খাবেন না। আনারস রস করে না খেয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। আনারস রস করে খেলে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. আনারসে রয়েছে স্বাস্থ্যকর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আনারস। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম যা সম্মিলিতভাবে অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তুলতে এবং প্রদাহকে দমন করতে সাহায্য করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মত আনারস খান, তাদের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম।
৩. আনারস ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। আনারসের থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটাই কম। যা শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
৪. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এই দুই উপাদান হাড়কে শক্ত করতে এবং হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া দাঁতের সুরক্ষায়ও কার্যকর।
৫. হজম ক্ষমতা বাড়ায় এই ফল। বদহজম বা হজমজনিত যেকোনও সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৬. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আনারসে থাকে বিটা ক্যারোটিন, যা চোখের রেটিনাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৭. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।